হজ্জের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বোঝার জন্য ইসলামী গ্রন্থ কোরআন ও নবীজির হাদিসসমূহ অপরিহার্য উৎস। এই মহান ইবাদতের পেছনে যে আধ্যাত্মিক গুরুত্ব এবং শিক্ষা রয়েছে, তা কেবলমাত্র আল্লাহর বাণী এবং রাসূল (সা.)-এর বক্তব্য থেকেই পুরোপুরি অনুধাবন করা সম্ভব।
এই লেখায় আমরা কোরআন ও হাদিস থেকে হজ্জ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত ও বাণী তুলে ধরব এবং তা থেকে আধুনিক জীবনের জন্য প্রাসঙ্গিক শিক্ষাগুলো বিশ্লেষণ করব।
হজ্জ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত
কোরআনে হজ্জের গুরুত্ব, বিধান ও ফজিলত সম্পর্কে অনেক আয়াত রয়েছে। হজ্জ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং এটি শারীরিক, আর্থিক ও আধ্যাত্মিকভাবে মুসলিমদের জন্য একটি পরীক্ষাস্বরূপ।
নিম্নে হজ্জ সম্পর্কে কুরআনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত উল্লেখ করা হলো, যেখানে আরবি আয়াত, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১. সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৯৭:
আরবি:
وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا ۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ
বাংলা উচ্চারণ:
“ওয়া লিল্লাহি আলান্নাসি হিজ্জুল বাইতি মানিসতাতা’আ ইলাইহি সাবীলা; ওয়া মান কাফারা ফা ইন্নাল্লাহা গানিয়্যুন আনিল আলামীন।”
অর্থ:
“আর মানুষের উপর আল্লাহর জন্য এই বায়তুল্লাহর হজ্জ করা ফরজ, যে সেখানে পৌঁছার সামর্থ্য রাখে। আর যে অস্বীকার করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৃষ্টিজগতের মুখাপেক্ষী নন।”
ব্যাখ্যা:
এই আয়াতে হজ্জের ফরজ হওয়ার শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। যারা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম, তাদের জন্য হজ্জ করা আবশ্যক। এটি আল্লাহর নির্দেশ, এবং এর অস্বীকারকারী আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয়। হজ্জের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন করে।
২. সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৯৮:
আরবি:
لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُوا فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْ ۚ فَإِذَا أَفَضْتُم مِّنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللَّهَ عِندَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ ۖ وَاذْكُرُوهُ كَمَا هَدَاكُمْ وَإِن كُنتُم مِّن قَبْلِهِ لَمِنَ الضَّالِّينَ
বাংলা উচ্চারণ:
“লাইসা আলাইকুম জুনাহুন আন তাবতাগু ফাদলাম মির রব্বিকুম; ফা ইজা আফাদতুম মিন আরাফাতিন ফাজকুরুল্লাহা ইন্দাল মাশ’আরিল হারাম, ওয়াজকুরুহু কামা হাদাকুম; ওয়া ইন কুনতুম মিন কাবলিহি লামিনাদ দাল্লীন।”
অর্থ:
“তোমাদের জন্য হজ্জের মাসগুলোতে হজ্জ করা কোনো দোষের কাজ নয়। তোমরা তোমাদের রবের কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
ব্যাখ্যা:
এই আয়াতে হজ্জের সময় ও এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে। হজ্জের সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করা উচিত। এটি হজ্জের আধ্যাত্মিক দিককে তুলে ধরে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের উপায় হিসেবে হজ্জের গুরুত্ব বর্ণনা করে।
৩. সূরা আল-হজ্জ, আয়াত ২৭:
আরবি:
وَأَذِّن فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَىٰ كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِن كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ
বাংলা উচ্চারণ:
“ওয়া আযিন ফিন নাসি বিল হাজ্জি ইয়া’তুকা রিজালাও ওয়া আলা কুল্লি দামিরিন ইয়া’তীনা মিন কুল্লি ফাজ্জিন আমীক।”
অর্থ:
“এবং মানুষের মধ্যে হজ্জের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সব ধরনের কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে।”
ব্যাখ্যা:
এই আয়াতে হজ্জের জন্য মানুষের আহ্বান ও তাদের আগ্রহের কথা বলা হয়েছে। হজ্জের জন্য মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে কষ্ট স্বীকার করে আসে। এটি হজ্জের আন্তর্জাতিক ও সার্বজনীন গুরুত্বকে তুলে ধরে।
৪. সূরা আল-হজ্জ, আয়াত ২৯:
আরবি:
ثُمَّ لْيَقْضُوا تَفَثَهُمْ وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ
বাংলা উচ্চারণ:
“সুম্মাল ইয়াকদু তাফাসাহুম ওয়া লিয়ুফু নুজুরাহুম ওয়া লিয়াত্তাওয়াফু বিল বাইতিল আতীক।”
অর্থ:
“তারপর তারা যেন তাদের শারীরিক অপবিত্রতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে এবং প্রাচীন ঘর (কাবা) তাওয়াফ করে।”
ব্যাখ্যা:
এই আয়াতে হজ্জের শেষ পর্যায়ে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির কথা বলা হয়েছে। হজ্জের সময় মানত পূর্ণ করা এবং কাবা তাওয়াফ করা আবশ্যক।
৫. সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৯৭:
আরবি:
الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ ۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ ۗ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللَّهُ ۗ وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَىٰ ۚ وَاتَّقُونِ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ
বাংলা উচ্চারণ:
“আল-হাজ্জু আশহুরুম মা’লুমাত; ফামান ফারাদা ফীহিন্নাল হাজ্জা ফালা রাফাসা ওয়া লা ফুসুকা ওয়া লা জিদালা ফিল হাজ্জ; ওয়া মা তাফ’ালু মিন খাইরিন ইয়া’লামহুল্লাহ; ওয়া তাযাওয়াদু ফা ইন্না খাইরায যাদিত তাকওয়া; ওয়াত্তাকুন ইয়া উলিল আলবাব।”
অর্থ:
“হজ্জ নির্ধারিত মাসে পালনীয়। সুতরাং যে ব্যক্তি এ মাসগুলোতে হজ্জের ইচ্ছা করে, তার জন্য হজ্জের সময় অশ্লীল কথা, পাপাচার ও ঝগড়া-বিবাদ নিষিদ্ধ। আর তোমরা যে ভালো কাজই করো, আল্লাহ তা জানেন। আর পাথেয় সংগ্রহ করো, নিশ্চয়ই সর্বোত্তম পাথেয় হলো তাকওয়া। হে বুদ্ধিমানরা, তোমরা আমাকে ভয় করো।”
ব্যাখ্যা:
এই আয়াতে হজ্জের সময়ের নির্দিষ্টতা এবং হজ্জের সময় আচরণের নিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছে। হজ্জের সময় অশ্লীলতা, পাপাচার ও ঝগড়া-বিবাদ থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। এটি হজ্জের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক দিককে তুলে ধরে।
হজ্জ সম্পর্কে হাদিস
হজ্জ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, এবং এর ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসে হজ্জের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হওয়া, জান্নাত লাভ করা এবং আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের কথা বলা হয়েছে। নিম্নে হজ্জ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস উল্লেখ করা হলো:
১. হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করে এবং কোনো অশ্লীল কথা বলে না কিংবা কোনো পাপ কাজ করে না, সে তার মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়ার দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।“
— (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৫২১)
ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে হজ্জের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। হজ্জের সময় অশ্লীলতা ও পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। এটি হজ্জের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক গুরুত্বকে তুলে ধরে।
২. হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“হজ্জের মকবুল হওয়ার পুরস্কার একমাত্র জান্নাত।”
— (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৭৭৩)
ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে হজ্জের সওয়াব ও ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে। মকবুল হজ্জের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায়, যা হজ্জের গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করে।
৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“হজ্জ ও উমরাহ পরপর আদায় কর। কারণ তা দারিদ্র্য ও পাপকে এমনভাবে দূর করে দেয় যেমন ভাঁটি লোহা, সোনা ও রুপার ময়লা দূর করে।”
— (তিরমিজি, হাদিস নং ৮১০)
ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে হজ্জ ও উমরার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর হওয়া ও গুনাহ মাফ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি হজ্জের আর্থিক ও আধ্যাত্মিক উপকারিতাকে তুলে ধরে।
৪. হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“হজ্জের মতো কোনো আমল নেই, যার প্রতিদান জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে।”
— (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১৩৪৯)
ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে হজ্জের সওয়াব ও ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে। হজ্জের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায়, যা হজ্জের গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করে।
৫. হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“হজ্জ ও উমরাহ আদায়কারী হলো আল্লাহর মেহমান। তারা যদি তাঁর কাছে দুআ করে, তবে তিনি তা কবুল করেন। তারা যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাদের ক্ষমা করেন।”
— (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৮৯৩)
ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে হজ্জ ও উমরাহ আদায়কারীদের মর্যাদা সম্পর্কে বলা হয়েছে। তারা আল্লাহর মেহমান এবং তাদের দুআ ও ক্ষমা প্রার্থনা কবুল হয়।
৬. হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“হজ্জ মাবরুর (মকবুল হজ্জ) এর প্রতিদান জান্নাত ছাড়া কিছুই নয়।”
— (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৭৭৩)
ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে হজ্জের সওয়াব ও ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে। মকবুল হজ্জের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায়, যা হজ্জের গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করে।
৭. হযরত উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“হজ্জ আদায়কারী এবং উমরাহ আদায়কারী হলো আল্লাহর মেহমান। তারা যদি তাঁর কাছে দুআ করে, তবে তিনি তা কবুল করেন। তারা যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাদের ক্ষমা করেন।”
— (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৮৯১)
ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে হজ্জ ও উমরাহ আদায়কারীদের মর্যাদা সম্পর্কে বলা হয়েছে। তারা আল্লাহর মেহমান এবং তাদের দুআ ও ক্ষমা প্রার্থনা কবুল হয়।
আয়াত ও হাদিস থেকে হজ্জের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা
হজ্জ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে আমরা অনেক মূল্যবান শিক্ষা লাভ করতে পারি। নিম্নে এর মধ্যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উল্লেখ করা হলো:
১. আল্লাহর নির্দেশ পালন:
কোরআনে বলা হয়েছে, হজ্জ শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের উপর ফরজ (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৯৭)। এটি আল্লাহর নির্দেশ, এবং এর মাধ্যমে আমরা তাঁর আনুগত্য শিখি। হজ্জ আমাদেরকে আল্লাহর হুকুম মেনে চলার গুরুত্ব শেখায়।
২. গুনাহ মাফ ও আত্মশুদ্ধি:
হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি হজ্জ করে এবং অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকে, সে তার মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়ার দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।” (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৫২১)। এটি হজ্জের মাধ্যমে গুনাহ মাফ ও আত্মিক পবিত্রতা অর্জনের শিক্ষা দেয়।
৩. ধৈর্য ও ত্যাগের শিক্ষা:
হজ্জের সময় বিভিন্ন ধরনের কষ্ট সহ্য করতে হয়, যা ধৈর্য ও ত্যাগের শিক্ষা দেয়। এটি আমাদেরকে জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করতে শেখায়।
৪. সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব:
হজ্জের সময় সবাই একই পোশাক পরে এবং একই কাজ করে, যা সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। এটি সামাজিক বৈষম্য দূর করতে সাহায্য করে এবং মানবতার ঐক্যকে শক্তিশালী করে।
৫. আল্লাহর নৈকট্য লাভ:
হজ্জের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। হাদিসে বলা হয়েছে, “হজ্জ মাবরুর (মকবুল হজ্জ) এর প্রতিদান জান্নাত ছাড়া কিছুই নয়।” (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ১৭৭৩)। এটি হজ্জের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের শিক্ষা দেয়।
উপসংহার
হজ্জ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা শারীরিক, আর্থিক ও আধ্যাত্মিকভাবে মুসলিমদের জন্য একটি পরীক্ষাস্বরূপ। কোরআন ও হাদিসে হজ্জের গুরুত্ব, পদ্ধতি ও ফজিলত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
হজ্জের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং গুনাহ মাফ হয়। আধুনিক জীবনে হজ্জের শিক্ষা আমাদের ধৈর্য, সাম্য ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেয়, যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অপরিহার্য।
হজ্জ শুধু একটি ইবাদত নয়, বরং এটি জীবন পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।